ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা নিলাম, আর না জেনে ছবি তুলবো না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২০৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমার অপরাধ সংগঠনের নেতাকর্মীকে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ শুনলে ছবি তুলতে চাইলে ছবি তুলি। সকল জেলার মেয়েরা ঢাকায় আসলে তাদের ঘুরাতে নেই। আমার অপরাধ একটা ছবি তোলার জন্য মনে ব্যথা দিতে চাই না। আমি মহানগর উত্তরের সভাপতি জেলা কমিটি দেয়ার এখতিয়ার রাখি না কিন্তু সকল নেতাকর্মীকে ভালোবাসি। নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াই। যেখানে পাপিয়া আইনের হাতে তার অপরাধে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের নাম প্রকাশ করা হোক।

বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এসে বলে আপা আমি আওয়ামী লীগের ভক্ত আপনার ত্যাগের জন্য আমি আপনার ভক্ত। আমার সাথে যখন আওয়ামী লীগের নাম বলে ছবি তুলতে চায় তখন না করতে পারি না। কতজনের সাথে কেবল ফেসবুকে পরিচয় আমি তাদের আইডিতে আওয়ামী লীগ নিয়ে লেখা দেখেই আপন করে নেই। আসলে দলের ভেতরও তো খারাপের প্রবেশ থাকতে পারে তা ভাবনায় ছিলো না। আমাদের নেত্রীরা পদ দেয় আমরা মিশাতে আমাদের কথা শুনতে হয়। আমি যখন এমপি ছিলাম অনেক মেয়েরাই হুমড়ি খেতো, আমি পরিবার নিয়ে কোথাও গেলে সেখানেও হাজির হতো। আমি এখন এমপি নেই, অনেকেই নেই কেবল যারা প্রকৃত এরাই আছে। আমি কখনও কোনোদিন প্রশাসনে কোনো খারাপের জন্য তদবির করেছি তা কেউ বলতে পারবে না।

আমার সাথে সব জেলার মেয়েদের সাথে ছবি আছে তা নিয়ে লেখা নেই। আমার সাথে ছবি তুলতে অনেকে আসে, দেখলেই ছবি তুলে আমি কিভাবে বুঝবো খারাপ? ছবি না তুললে বলবে অহংকারী। যাই হোক এ থেকে শিক্ষা নিলাম আর না জেনে ছবি তুলবো না আর কেউ এসে আওয়ামী লীগ করে বললেও আপন করবো না। আমার ভুলের জন্য আমার পরিবারকেও লজ্জিত হতে হচ্ছে তাই আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি প্রশাসনকে বলবো আমার সাথে ছবি আছে কিন্তু অপরাধী তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করেন। আমি না জেনে ছবি তুলে মিশে যে অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষা নিলাম, আর না জেনে ছবি তুলবো না

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমার অপরাধ সংগঠনের নেতাকর্মীকে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ শুনলে ছবি তুলতে চাইলে ছবি তুলি। সকল জেলার মেয়েরা ঢাকায় আসলে তাদের ঘুরাতে নেই। আমার অপরাধ একটা ছবি তোলার জন্য মনে ব্যথা দিতে চাই না। আমি মহানগর উত্তরের সভাপতি জেলা কমিটি দেয়ার এখতিয়ার রাখি না কিন্তু সকল নেতাকর্মীকে ভালোবাসি। নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াই। যেখানে পাপিয়া আইনের হাতে তার অপরাধে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের নাম প্রকাশ করা হোক।

বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এসে বলে আপা আমি আওয়ামী লীগের ভক্ত আপনার ত্যাগের জন্য আমি আপনার ভক্ত। আমার সাথে যখন আওয়ামী লীগের নাম বলে ছবি তুলতে চায় তখন না করতে পারি না। কতজনের সাথে কেবল ফেসবুকে পরিচয় আমি তাদের আইডিতে আওয়ামী লীগ নিয়ে লেখা দেখেই আপন করে নেই। আসলে দলের ভেতরও তো খারাপের প্রবেশ থাকতে পারে তা ভাবনায় ছিলো না। আমাদের নেত্রীরা পদ দেয় আমরা মিশাতে আমাদের কথা শুনতে হয়। আমি যখন এমপি ছিলাম অনেক মেয়েরাই হুমড়ি খেতো, আমি পরিবার নিয়ে কোথাও গেলে সেখানেও হাজির হতো। আমি এখন এমপি নেই, অনেকেই নেই কেবল যারা প্রকৃত এরাই আছে। আমি কখনও কোনোদিন প্রশাসনে কোনো খারাপের জন্য তদবির করেছি তা কেউ বলতে পারবে না।

আমার সাথে সব জেলার মেয়েদের সাথে ছবি আছে তা নিয়ে লেখা নেই। আমার সাথে ছবি তুলতে অনেকে আসে, দেখলেই ছবি তুলে আমি কিভাবে বুঝবো খারাপ? ছবি না তুললে বলবে অহংকারী। যাই হোক এ থেকে শিক্ষা নিলাম আর না জেনে ছবি তুলবো না আর কেউ এসে আওয়ামী লীগ করে বললেও আপন করবো না। আমার ভুলের জন্য আমার পরিবারকেও লজ্জিত হতে হচ্ছে তাই আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি প্রশাসনকে বলবো আমার সাথে ছবি আছে কিন্তু অপরাধী তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করেন। আমি না জেনে ছবি তুলে মিশে যে অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।